আজকের শিরোনাম :

মীর মশাররফ হোসেনের ১৭২তম জন্মবার্ষিকী আজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২৯

বাংলা সাহিত্যের মুসলিম ধারার দিকপাল, কালজয়ী উপন্যাস বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৪৭ সালের এই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাঙালি মুসলিম সমাজের প্রথম প্রবাদপ্রতিম ও জনপ্রিয় এই লেখক গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচনাসমগ্রর মধ্যে বিষাদ সিন্ধু, জমিদার দর্পণ, রতœাবতী, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, সংগীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব, গো-জীবন, বেহুলা গীতাভিনয়, গাজী মিয়ার বোস্তানী ও বৃহৎ হীরক খনি উল্লেখযোগ্য।

মীর মশাররফ হোসেনের ‘আমার জীবনী গ্রন্থ’ থেকে জানা যায়, কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। হরিনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ ও ইশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকর’ নামক পত্রিকা দুটিতে মশাররফ হোসেনের সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। গ্রামবার্তা পত্রিকায় মীর মশাররফ সাহিত্য, দর্শন বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করেন।

নীল বিদ্রোহের ওপরে ‘জমিদার দর্পণ’সহ প্রায় ২৫টি গদ্য গ্রন্থ রচনা করে মীর মশাররফ হোসেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম আধুনিক মুসলিম গদ্য শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। তার সম্পাদিত ‘হিতকরী’ (১৮৯০) পত্রিকায় বাউল শিরোমনি লালন ফকিরের উপরে প্রথম লালন জীবন দর্শন মহাত্মা লালন ফকির প্রকাশিত হয়।

কুষ্টিয়ায় জন্ম হলেও মীর মশাররফ হোসেনের শৈশব, কৈশোর, যৌবন সবই কেটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীতে। জীবনের শেষ দিনগুলোও পদমদীতেই অতিবাহিত করেন তিনি। তার সহধর্মিণী বিবি কুলসুমও এখানে মারা যান। তার পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও পদমদীর নবাব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পদমদীতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ