আজকের শিরোনাম :

সৈয়দ শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৫

আজ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আবহমান বাংলা ও বাঙালির অন্যতম সেরা এই ভাষাশিল্পী ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে তিনি প্রায় ৪ মাস লন্ডনে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, কাব্যনাট্য, চিত্রনাট্য, গান, প্রবন্ধ, অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সব ক্ষেত্রে সাবলীল লেখনী-ক্ষমতার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে ‘সব্যসাচী লেখক’ নামে অভিহিত করা হয়।

তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছরব্যাপী বিস্তৃত। এই বিশাল সময় ধরে সৈয়দ হক নিজ মেধা, মনন ও সৃজনীশক্তির মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন সাহিত্যের সুদৃঢ় অবস্থানে।

সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায়। কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যজীবনের শুরু। ১৯৫১ সালে সাহিত্যজগতে পা রাখার দিন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থামেনি সৈয়দ শামসুল হকের কলম। ১৮ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একদা এক রাজ্যে’। এর পর একটানা ছয় দশক ধারাবাহিকভাবে তার তিন শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

তার প্রথম লেখা একটি গল্প- যা ১৯৫১ সালে ফজলে লোহানী সম্পাদিত ‘অগত্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। 

এ ছাড়া সাহিত্যে তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সৈয়দ হকের জন্মস্থান কুড়িগ্রামে আজ তার সমাধিতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনসহ আলোচনা সভা, র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সৈয়দ শামসুল হকের অপ্রকাশিত রচনা নিয়ে বেঙ্গল পাবলিকেশন্স্ আজ দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করতে যাচ্ছে। 

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ