আজকের শিরোনাম :

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ছড়ায় উপমা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০১৮, ১১:৩৭

উৎপলকান্তি বড়ুয়া, ১৩ জুন, এবিনিউজ : বাংলাসাহিত্যে ছড়াসাহিত্যের অবস্থান শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থিত এবং তা অতি সম্মানের সাথে এ কথা বলাই বাহুল্য। দেশ–বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ছড়া, স্ব স্ব অঞ্চলের ছড়াশিল্পীর হাত ধরে লিখিত হয়ে আসছে বিভিন্ন সময় ধরে। এই ধারাবাহিকতায় গত শতকের প্রায় আশি দশকের প্রথম থেকেই উল্লেখযোগ্যহারে মূলত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ছড়া রচনার প্রতি সচেষ্ট হন চট্টগ্রামের ছড়াকাররা। দেশের ছড়াসম্‌্রাটখ্যাত সুকুমার বড়ুয়া, নূর মোহাম্মদ রফিক থেকে শুরু করে খ্যাতিমান অনেক ছড়াকারসহ বর্তমান সময়ের অনেক ছড়াকারই বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ছড়া রচনায় যুক্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার রয়েছে নিজস্বতা, আলাদা বৈশিষ্ট, ভাষাপ্রয়োগের যথার্থতা এবং সৌন্দর্যমণ্ডিতা। বাংলাভাষার মূলধারার ছড়ার মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ছড়ায়ও নানান চমৎকার সব উপমা এবং রূপকথা বিদ্যমান, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তেমনি কিছু ছড়ায় উপমা এবং রূপকথা নিয়ে এ লেখার অবতারণা।

“পুব ডাহদি খাপ দিয়েরে/সূর্য উডের লাল মারি

আসমানত কঁন খুলি দিঁয়ি/কালা মেঘর আলমারি?”

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা বিশিষ্ট কবি, সাংবাদিক ও ছড়াশিল্পী ওমর কায়সার রচিত “আষাঢ় মাইস্যা” শিরোনামের এ ছড়ায় “পুব ডাহদি খাপ দিয়েরে” ও “কালা মেঘর আলমারি” শব্দ দু’টোর প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাক। একটি ছড়ার প্রথম প্যারার এই দু’টো লাইনেই অসাধারণ উপমার সংযোজন সত্যি বিরল। সূর্য সাধারণত পুব দিকে উদিত হয়। নরোম ভোরের আমেজ শরীরে মেখে লাল টুকটুকে সূর্যের পুব দিকে উঁকি মারার যে বিষয়, সেটাকে “পুব ডাহদি খাপ দিয়েরে’ শব্দ–উপমার মাধ্যমে চমৎকার ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করার সার্থক প্রয়াস ঘটিয়েছেন ছড়াকার। উঁকি মেরে পুব দিকে ওঠা সূর্যের পাশাপাশি যখন কালো মেঘ জমেছে আকাশে, সেই কালো মেঘের ঘনঘটাকে ছড়াকার চমৎকার উপমার অলংকারে সাজানোর প্রয়াস পেয়েছেনও এখানে। কালো মেঘের আলমারি খুলে দেয়া হয়েছে বলেই আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে যত মেঘ। এখানে “কালা মেঘর আলমারি” শব্দটাও উপমার বর্ণিল রূপে রূপায়িত হয়েছে।

মাছ নিবো ফইন্যা/বড় কালি ঘইন্যা,

নুন নাই তেল নাই/নাই জিরা ধইন্যা,

মনে মনে বিয়া গরে/সিনেমার কইন্যা।

শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক সুকুমার বড়ুয়া’র ‘মাছ’ শিরোনামের এই রূপকাশ্রিত ছড়াটাতে চমৎকার ব্যঞ্জনার অবতারণা খুঁজে পাওয়া যায়। বাজারের অতি সুস্বাদু দামী মাছ কিনবে। অথচ রেধে খাওয়ার মতো রসদ নুন, তেল, জিরা, ধন্যা নেই ঘরে। উপরন্তু মনে মনে স্বপ্ন আঁকে সিনেমার নায়িকার মতো সুন্দরী কন্যাকে বিয়ে করার। আকাশ কুসুম কল্পনার এ এক মহা আয়োজন এই রূপক ছড়ার মাধ্যমে আমরা ছড়াসম্রাট সুকুমার বড়ুয়ার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ছড়াতে দেখতে পাই। এ যেন ঠিক প্রবাদ–প্রবচন “ ঢাল নেই তলোয়ার নেই/নিধিরাম সর্দার” এর মতো।

তেমনি তাঁর ‘চিনাজোক’ ছড়ায় রূপকতা এবং উপমার মিশ্রণ চমৎকারভাবে উপস্থিত।

ফিরিঙ্গি বাজার গিরিঙ্গি লাগায়/যার তার লগে কেরপেট

পরঅরে খাবায় আধা পেডি আর/নিজে খাই ফেলায় দেড় পেট।

জিলাপির পেঁচ নরম নরম/আঁতুরির পেঁচ শক্ত

চিনাজোক আহা কত মোলায়েম/কত জোরে টানে রক্ত।

পরকে অর্ধেক খাইয়ে, নিজেরটার সাথে বাকী অর্ধেকটাসহ হজম করে নেয়ার যে প্রবণতা, তা সমাজের শোষক–লুণ্ঠন শ্রেণির চরিত্রের জ্বলন্ত উদাহরণ। এখানে ‘দেড় পেট’ শব্দটা উপমার নান্দনিকতায় হয় দৃশ্যমান। কেউ পেট ভরে খেলেও তার পেট সমান বা পেট পুরে পর্যন্ত খেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি পেট পুরে খেয়েও আধা পেট আরও বেশি খায় তখন বুঝে নেয়া বাকি থাকে না যে, এখানে সত্যি অনিয়মের শক্ত বসতির ভীত গেড়েছে। আবার লক্ষ্য করার বিষয় যে, এ ছড়ার পরের লাইনে “জিলাপির পেঁচ নরম নরম/আঁতুরির পেঁচ শক্ত, চিনাজোক আহা কত মোলায়েম/কত জোরে টানে রক্ত”। এখানে জিলাপির প্যাঁচ বলতেই শয়তানি–কূটবুদ্ধির উপমা এবং রূপক অর্থ বিদ্যমানতার দৃশ্য ফুটে ওঠে পরিষ্কারভাবে। তেমনি দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা চিনাজোকের ভূমিকায় উপনীত হয়ে শোষণ করার যে হীন প্রচেষ্টা তার চিত্রায়ণ হলো খুবই সার্থকভাবে।

আবার সুকুমার বড়ুয়া’র আরেকটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার লেখা ছড়ায় যেমন–

ডব্লিউ ডব্লিউ ডটকম

পানি খাইবার পট কম

ভাড়ার বাসাৎ গর্বা পড়ে

নীচেঅ কিছু বিছান গরে

ঠাণ্ডার মাঝে বিছাইবারলাই

মাদুরা পাডি চট কম।

ঘন ঘন বাসা বদল

জিনিসপাতির লট কম

ডব্লিউ ডব্লিউ ডটকম।

উপরোল্লিখিত ছড়াটি ছড়াকার তাঁর মেধার উৎকর্ষে প্রযুক্তির সর্বশেষ সৌন্দর্যের আবরণে রাঙিয়েছেন। ছড়াটির বিষয়–বক্তব্যে অভাবগ্রস্ত সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন নিখুঁতভাবে। পানি খাওয়ার পট কম। এই পট মানে গ্লাস, যা সিলভারের পট বা টিনের পট হয়ে থাকে সাধারণত, যা পানি খাওয়ার পাত্র বা পটকে বুঝায়। এই শ্রেণির ভাড়াটিয়া সাধারণত সারাবছরই নানা অভাব অনটন বা টানাটানির মাঝে দিনাতিপাত করে থাকে । তার মধ্যে “ভাড়ার বাসাৎ গর্বা পড়ে/নিচে কিছু বিছান গড়ে”, এখানে খুলে বলার প্রয়োজন নেই যে–ভাড়া বাসায় প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে খাট–পালংকে গর্বা মানে অতিথিকে জায়গা দিতে গিয়ে নিচে মাটিতে বিছানা করতেই হয় আর বাকিদের জন্য। তার মধ্যে আবার “ঠাণ্ডার মাঝে বিছাইবারলাই/মাদুর পাডি চট কম।” এখানে সহজে অনুমেয় যে, নিচে একে তো ঠাণ্ডা, তার মাঝে আবার বিছানো জন্যে চট বা পাটি, তারও স্বল্পতার কথা উঠে এসেছে। এখানে, অতি সাধারণ সমাজের অতি কষ্টের দিনাতিপাতের বিবরণ সত্যি চমৎকার রূপকতার আশ্রয়ে বর্ণিত হলো।

আঁরা থাগি দইজ্যার পারত্‌

আঁরার বাড়ি মুরার খোরত্‌

আঁধা–ছোঁধা ঝর–তুয়ানত্‌

আঁরা ন থাআই ঘরর্‌ কোনত্‌

ঘর ভাঙিলে বানাই ঘর

মুরার শি’য়াত্‌ বানাই শ অর।

প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক মসউদ–উশ–শহীদের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা এ ছড়ায় চট্টগ্রামের মানুষের অবস্থান, গতি, সাহস সর্বোপরি প্রকৃতির সাথে জীবন যুদ্ধের বিবরণ প্রতীয়মান হয়েছে। চট্টগ্রাম অবস্থানগতভাবে পাহাড়, নদ–নদী, সাগর বেষ্টিত। “আঁরার বাড়ি মুরার খোরত্‌” এই শব্দে–আমাদের বাড়ি পাহাড়ের কোলে, এই কথা বুঝিয়েছেন। এইখানে “আঁরার বাড়ি মুরার খোরত্‌” যখন বলা হয়, তখন অনেক চমৎকার উপমায় ‘খোরত’ মানে ‘কোলে’ শব্দটাকে বুঝানো হলো। এরপর “মুরার শি–য়াত্‌ বানাই শ অর”। এখানে মুরা মানে পাহাড় আর ‘শি–আত্‌’ মানে ‘শিরে’ অর্থাৎ শির যার আরেক প্রমিত অর্থ মাথা। এই ‘শিরে’ থেকে ‘শি–আত্‌’ শব্দ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয়। চট্টগ্রামের অবস্থান মূলত সাগরের পাড়ে পাহাড়ের ভাজে আর তার আশে–পাশে। ‘মুরার শি–আত্‌ বানাই শ অর’ যার বাংলা প্রমিত অর্থ দাড়ায়– পাহাড়ের মাথার উপর আমরা শহর গড়ি। এইখানে শব্দের উপমা আর বক্তব্যে রূপকতার উজ্জ্বল্য প্রতীয়মান নিঃসন্দেহে বলা যায়।

ছড়াকার অনিন্দ্য বড়ুয়া’র একটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ছড়ায় আমরা নজর দেই এবার। ছড়াটি এ রকম– ক্যান্‌ জ্বালা জ্বালার চ’না/কুট্‌কুডইন্যা বুড়ি

নাস্তার মইধ্যে সেরা বলে/কাপর তলার মুড়ি।

তিন দাঁতে আর খাইত্‌ ন’পারে/ভট্‌কাই ভট্‌কাই পান

থাই থাই কয়দে ‘হদিচ্ছাউয়া’/ইঁয়ুত টানি আন।

বন খাইতু চায় মাঝে মাঝে/চাঁ খাইফেলার বনে,

চিল্লাই কয়দে ‘কাপর তলাত্‌/চাঁ দিয়ুছ দে কঁনে?’

এ ছড়াটির দু’টো লাইন যদি আমরা সামনে আনি।

প্রথমটা “নাস্তার মইধ্যে সেরা বলে/কাপর তলার মুুড়ি।” যার প্রমিত বাংলা অর্থ– চা এর কাপের ভেতর মুড়ি ডুবিয়ে বা ভিজিয়ে খেতে গিয়ে সেই চা কাপের তলানিতে অল্প পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে আর সে মুড়িই সবচে’ খেতে মজা। এখানে “কাপের তলার মুড়ি” শব্দটাতে সুন্দর উপমা এবং রূপকতার মিশ্রণ সমভাবে বিদ্যমান আমরা লক্ষ্য করি। অন্য শব্দটা– “বন খাইতু চায় মাঝে মাঝে/চাঁ খাইফেলার বনে”। এখানে বন মানে রুটি চা’তে ভিজিয়ে বা ডুবিয়ে খেতে গিয়ে দেখা গেলো কাপের চা’র পরিমাণ কমে যাচ্ছে ক্রমশঃ। এই চা’র পরিমাণ কমে যাওয়াকে, বন বা রুটিই চা’কে খেয়ে ফেলার কথাটা বলা হচ্ছে। এখানে যে উপমার হাত ধরে রূপকতারও আশ্রয় রয়েছে এই পুরো বাক্যটার মাঝে খুবই যুক্তিযুক্তভাবে।

পাকিস্তানর মুখর ফোয়াত্‌/বাংলা নামর কদু ছিক্কার আগাত্‌ টিক্কা খানর/জইম্যে লোভর মধু। শেখ মুজিবে যঅন্‌ থিয়াই টান/মাইল্যু গোড়া ধরি টিক্কা খানর ছিক্কা ছিঁড়ি/পইল্যু ধরত্‌ গরি।

এটি আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ও তৎসময়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা ছড়া। উৎপলকান্তি বড়ণ্ডয়া’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ছড়ার এই পংক্তিতে লক্ষ্য করলে দেখি এতেও উপমা এবং রূপকতার সম্মিলন রয়েছে নিশ্চিতভাবে। পুরো ছড়াটার প্রতি লাইনেই উপমা এবং রূপকতায় ঠাঁসা। প্রমিত শব্দে অর্থ দাড়ায় এ রকম– তৎকালীন পূর্ব বাংলার সবকিছুই পাকিস্তানের মুখরোচক হিসেবে গণ্য এবং এই বাংলায় অর্জিত ফসল–সম্পত্তি তাদের লোভের প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পরিমিত জ্ঞান–প্রজ্ঞার আদর্শে উজ্জীবিত শক্তির কাছে টিক্কা খানের তথা পাকজান্তার মর্মান্তিক পরাজয়ের কাহিনী বয়ান করা হয়েছে। এখানেও এই ছড়ার প্রতিটা লাইনে চমৎকারভাবে উপমা আর রূপকতার বর্ণিল চয়ন সুস্পষ্ট বিদ্যমান।

খ্যাতিমান নাট্যজন, কবি ও ছড়াকার সনজীব বড়ণ্ডয়া তাঁর লেখা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ছড়ায় লিখেছেন,

ছনর ছানির ঘর গেইয়ে গৈ/টইনর ছানি যার

কউচ্চা কউচ্চা গাছর ফাঁগে/দালানে কাউপ্‌পার।

বিজ্ঞানে ত আউগ্‌গাই গেইয়ে/মানুষ পিচ্ছা যার,

লোভ–লালচ আর খুনাখুনি/দুনিয়া ছারখার।

এখানে “কউচ্চা কউচ্চা গাছর ফাঁগে/দালানে কাউপপার” শব্দটা প্রমিত অর্থে ‘সবুজ সবুজ গাছের ফাঁকে দালান উঁকি দিচ্ছে’ এই কথাই বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। গ্রামে সাধারণত ছনের বা টিনের ছাউনির ঘর হয়ে থাকে। সেখানে এখন পাকা দালানের হিরিক পড়েছে। গ্রামের সবুজ গাছ–গাছালির ফাঁকে দালান বাড়ি গড়ে ওঠার কথা চমৎকার উপমার সৌন্দর্যে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে উপমার রূপ–রস সমস্তকিছু চমৎকারভাবে উপস্থিত। তেমনি, ‘বিজ্ঞানে ত আউগগাই গেইয়ে/মানুষ পিচ্ছা যার’ ছড়ার এই লাইনে লেখক বলেছেন–বিজ্ঞান–প্রযুক্তি এগিয়েছে, সাথে বাংলার আবহমান ঐতিহ্যসহ মানুষগুলো অনেকটা পেছনের দিকেই যাচ্ছে আর সেটা লোভ লালসা, খুনাখুনি ও সকল অশুভ বিষয়কে আকড়ে ধরেই। এখানেও ছড়ার এই লাইনে উপমাসহ রূপকতার সন্নিবেশে ঠাসা রয়েছে যা বেশ উপভোগ্য এবং চমকপ্রদ।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত এমনি আরো অনেক নানান ছড়ায় উপমা এবং রূপক শব্দের বর্ণিল উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা এসব ছড়া পাঠক যত পাঠ করবেন, পাঠে মনোযোগী হবেন তত বেশি উল্লেখযোগ্যহারে এ ভাষার ব্যবহারের নানান দিক, রূপ, বিষয়, বৈচিত্রসহ সম্পর্কে সমধিক পরিচিতি লাভ করবেন। এক শ্রেণির চট্টগ্রামী লোক আছেন যারা তাদের সন্তানদের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ইচ্ছা করেই জানানো বা শেখানো থেকে বঞ্চিত রাখেন এ কথা বলাই বাহুল্য। জন্মসূত্রে, প্রত্যেকের সে স্থানের ভাষা আঞ্চলিক ভাষা নামে অভিহিত। সে আঞ্চলিক ভাষা প্রতিটা শিশু–কিশোরের জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ প্রত্যেক অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় রয়েছে তাদের শেকড়ের সম্পর্ক। যে জাতির শেকড় যত গভীরে প্রোতিথ সে জাতির ঐতিহ্য,সভ্যতা–কৃষ্টি তত বেশি মজবুত, তত বেশি সমৃদ্ধ এ কথা বলার অপেক্ষাই রাখে না।  (সংগৃহীত)

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ