আজকের শিরোনাম :

কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩১

জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে আজ শুক্রবার নানা কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে।

সকালে প্রয়াত লেখকের পরিবারের সদস্যরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও সেখানে কোরআনখানি আয়োজন এবং পরে এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

সকাল ১০টার দিকে প্রথমে হুমায়ূন আহমদের শ্বশুর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও নুহাশ পল্লীর কর্মচারীরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে প্রয়াত লেখকের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট মো. আহসান হাবীব, বোন সুফিয়া হায়দার ও রোকসানা আহমেদ, অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মো. মাজহারুল ইসলাম, আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনিসহ অন্যরা লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি হুমায়ূন আহমেদের লেখাগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মিউজিয়াম স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর কর্ম নিয়ে একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হয়েছে।

হিমু পরিবহনের সভাপতি মো. আসলাম হোসেন জানান, হিমুরা একযোগে ৪০ জেলায় তাদের প্রিয় লেখকের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এর মধ্যে বৃক্ষরোপণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও বইমেলা রয়েছে। হিমুদের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ১০ জেলায় পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।

এবছর লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও তার দুই ছেলে নিশান ও নিনিদ দেশের বাইরে থাকায় লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, দিনটি উপলক্ষে সকাল থেকে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে এলাকার বিভিন্ন মাদরাসার এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথা সাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ভাই। ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ