রম্য রচনা
দুইশআটতম লোকসাহিত্য সভা
অ আ আবীর আকাশ
০২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
শিখলাম ডিম। ডিম চ্যাপ্টা গোলাকার, উপরে শক্ত আবরণ থাকলেও ভেতরে তরল। চারপাশে পানি মধ্যখানে হলুদ আর হলুদের সমান মধ্যে চোখ।
এর বাহিরে শিখলাম দেবদারু বৃক্ষ। লম্বা হওয়ায় সব গাছ ছাড়িয়ে উপরে উঠে। ছোট বেলায় ভীষন লকলকে, নেতিয়ে পড়ে। কাঠ মজবুত ফার্নিচার তৈরিতে লাগে। ধনীরা শো হিসাবে সোফা সাজায় ঘরে রাখে।
সাহিত্য সংসদের দুইশআটতম সভা প্রেসক্লাবে লোকসাহিত্য নিয়ে। প্রবীন-নবীন কবি সাহিত্যিক উপস্থিত রয়েছেন। যারা চারটার অনুষ্ঠানে পাঁচটায় এসেছেন তাদের যারা চারটায় অনুষ্ঠানে সাড়ে তিনটা এসেছেন তারা জায়গা ছেড়ে, চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
উপস্থিত আজকের সাহিত্য সংসদের সভাপতি, উপস্থিত রয়েছেন সংসদের সিনিয়র সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, রয়েছেন বিশিষ্ট কবি ও আবৃত্তিকার ও নবীন-প্রবীণ কবিবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমাদের আলোচিত বিষয় লোকসাহিত্য। আমি যখন কলেজের আন্ডারপাস প্রফেসর ছিলাম তখন পাশের জেলায় লোকসাহিত্য নিয়ে লিখেছি। তারা একটা বই করেছে তাদের নিজস্ব আচার ইতিহাস-ঐতিহ্য লোকসাহিত্য নিয়ে। তারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে লোকসাহিত্য সংগ্রহের। আমি সভাপতির অনুমতিক্রমে তা উপস্থাপন করছি এ বলেই সাধারণ সম্পাদক তার মূল দলিল খুললেন। ছোট কাগজ বড় কাগজ টুকরো কাগজ মিলিয়ে সেসবের পিনাপ বান্ডিল বের করলেন এবং তা পড়তে আরম্ভ করলেন-
আজি গঞ্জের মাঝি রে
তুই ভালো না পাজি রে
হেন্না গঞ্জের বৈঠা রে
হুক না হুরীর লুইট্যারে। এভাবে তারা একে অপরকে রস কাটে, কাটে ব্যঙ্গ। মুন্সি -গরু কিনছি
লোতা -গরু হোতা
গোরপান -গুরু দে কোরবান
আলী হাদ্দর- গরু ভাগ কর' পাড়া গ্রামে নাইওরি কলসি কাঁখে যায় পানির জন্য। দলে দলে এসব সুন্দরী মেয়েদের দেখে বলে উঠে রসিক মন- যাচ্ছো কোথায় ও সুন্দরী বাঁকা কোমড় লাড়ি
আলতা বৈরঅ, নুপুর লাগাই আমারে ছাড়ি। কেউ কেউ বলে উঠে- সুন্দর একখান আইছে মাইয়া
আমার দিকে রয়েছে চাইয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসবে বকশিশের টাকা পয়সা নিয়ে তর্কাতর্কি- লাখ টাকা খরচ করি
বিয়া করে সরস করি
তবু জামাই একশ টিয়া
দিতে হরান যায় হাড়িয়া অথবা মামা মামী বেড়াতে এসেছে দেখে ভাগিনা ভাগ্নি গেয়ে উঠে-
লোইটটা হুরীর মশারির ডাইল
মায়ে রাইন্ধা রাইখছে কাইল। অথবা আঙ্গো বাইত মেজ্জান আইছে খালা আর খালু
আঙ্গো আব্বা আইনছে গোস্ত আইনছে গোল আলু
বেকেরতন খুশি অইছে আর বাই কালু
মজা করে খামু হিডা আলু আর থালু। যাক লেখা অনেক লম্বা হওয়ায় এই স্বল্প সময়ে শেষ করা যাবে না। এখানে শুধু নির্বাচিত অংশটুকুই উপস্থাপিত হয়েছে। এখন আপনাদের মাঝে লোকসাহিত্য নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোকপাত করবেন সাহিত্য সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি আবৃত্তিকার সমালোচক টোকন চৌধুরী। হ্যাঁ করতালি দেন সবাই- হা হা হা, ধন্যবাদ সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সভাপতি সহ-সভাপতিসহ মহিলা কবি নবীন-প্রবীণেরা আমার সালাম নিবেন। আমরা জানি একটি দেশের মহামূল্যবান সম্পদ সেদেশের লোকসাহিত্য। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই হোয়াট থিওরি, মাইকেল শাহানা, ডিয়াগো বেল্ট, লাল চোখ হিন্দু, সোনা রোল সানডে ও সাম্প্রতিক নোবেল দিতে গিয়ে দাঁড়ি কামায়া আলুর রেট পর্যন্ত সবাই তাদের লোকসাহিত্য গেয়েছেন। প্রশংসিত হয়েছেন, জিইয়ে রেখেছেন ডোলা পোশাকের ইতিহাস। টাইট ব্রার হুক কিবা বিশ্ব সাহিত্যে স্থান নিয়েছে পল্লী বালিকার ফেলে আসা জাংগিয়া। আমরা দেখেছি ওয়াট সাউন্ডের গরু থিউরির হাম্বা রব, মাইকেল আনারুল কলিং কিবা দেয়ালের চুলের খোপা, লোড কি প্রাসের টাংক চার, লাল চোখ ইঁদুর, কক ডেট, হালের দাঁড়ি কামায়ার মূল ব্রাঞ্চ কত সুচারু। লোকসাহিত্যের উন্মাদনায় বেরসিক হয়েছে মন কিন্তু যদি পরী সোনাইয়া বোলের রান পাকিং কিংবা ব্রেষ্ট টিপিং তাহলে বুঝতে বাকি থাকবেনা কত গভীর থেকে লোকসাহিত্যকে খুঁজে আনা হয়েছে। চন্দ্রিকার আলোময় গভীর রাতে যখন জীর্ণ কুটিরে দুজন কামপাগল নেশাতুর ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেখানেও যে সুর, ছন্দের ব্যঞ্জনা ঘটে, লোকসাহিত্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে নিপুণভাবে। আজকে যারা বিশ্ব সাহিত্য নেতৃত্ব দেন তারা সবাই লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করেছেন। বাটার বেস্ট সুইট, বেস্ট বাট হাঙ্গার প্রজেক্ট। আমি আশা করব সকলে লোকসাহিত্য কে অনুধাবন করবেন। মনেপ্রাণে ধারণ করবেন বলে আমার বক্তব্য শেষ করছি বলেই মাথা নীচু করেন খানিকটা। তারপর সোৎসাহ পাওয়ার আশায় বিভিন্ন মুখ চাওয়াচাওয়ি করে বসে পড়েন। এদিকে পিছনে একটা অবোধ বাচ্চা ও সাধারণ সম্পাদক হাততালি দিলেন আর সকলে চুপচাপ বসে থাকলেন। মনে হচ্ছে তপন চৌধুরীর বক্তৃতায় কেউ কিছু রপ্ত করতে পারেননি। সম্পাদক উপস্থাপকের দায়িত্ব নিয়ে বলতে থাকলেন- ধন্যবাদ।এখন পর্যন্ত লোক সাহিত্যের উপর বিশ্ব সাহিত্যের আলোচনা করা হয়। এবার আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন... তপু বলবা? না। কবির হোসেন বলবা? না। তা কিছু দিন যে না,হাসান অডিও কিছু বল।-না না, প্রস্তুতি নেই স্যার, প্রস্তুতি নেই।
আচ্ছা বক্তব্য রাখবেন টিপু, হাততালি দাও জোরে হাততালি হবে। টিপু হাত তালির ভেতরে চট করে উঠে বলতে শুরু করেছে- না। পুরনো কমলালেবুর মতো চুপসে গেছে সম্পাদকের মুখ। এ অবস্থা দেখে টিপু বলতে থাকলো আমার বদলে বক্তব্য রাখবেন আমার বন্ধু বিশিষ্ট গল্পকার,তালি বাদক, সুরের হুংমরি খাদক কুদ্দুস, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। সঙ্গে সঙ্গে হাততালির শব্দে হাউস সরগরম হয়ে উঠলো। উপস্থিত আজকের সভার সভাপতি, সম্পাদক, কবি, সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, পত্রিকার সম্পাদক ও আমার সুপ্রিয়গণ সশ্রদ্ধ সালাম নিবেন। আজকে আমরা এখানে একমত বা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণ একটাই লোকসাহিত্য নিয়ে আলোচনা। লোকসাহিত্য মানে লোকের মুখে মুখে বয়ে বেড়ানো গল্প, কাহিনী, প্রবাদ, বিরচন, ধাঁধা ইত্যাদি। আমরা বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে, হুয়া স্ট্রিং না পড়ে মায়ের কাছে যাই, সেকালের গল্প, লোকসাহিত্য শুনি লিপিবদ্ধ করি আর এটাকে ভালো করে সম্পাদনার মাধ্যমে গ্রন্থভুক্তি করি। এতে করে পল্লিসাহিত্য জননী যেমন করে মুক্তি পাবে তেমনি আমরা মুক্তি পাব আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে -এই বলে আমার ক্ষুদ্র বক্তব্য এখানে শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে। ধন্যবাদ কুদ্দুস তার মূল্যবান ভক্ত উপস্থাপন করার জন্য। এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন সংসদ সিনিয়র সহ-সভাপতি জ্ঞান-গরিমার গতি লাল বালুয়ার অধিকারী জনাব কালু। বলেই উপস্থাপক নিজেই হাততালি দিতে থাকলেন। অন্য আর কেউ হাততালি দিচ্ছেন না বলে লজ্জা পেয়ে জমে গেলেন। ধন্যবাদ সম্পাদক সাহেবকে আমাকে আজকের আলোচনা সভায় কিছু বলার সুযোগ করে দেয়ায় এখানে অনেক গণ্যমান্য জঘন্য ব্যক্তির সমাবেশ ঘটেছে ভাবতে ভাবতে আমি ভাবি কি দেখে কি বলি। তারপর থেকে চিন্তা করলাম হেমন্তের এই পড়ন্ত বেলায় শুধু কবি ও কবিতার সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় তৃষ্ণার্ত নারীর মতো উন্মুখ হয়ে আছি। কত কাল কত যুগ ধরে দেখে আসছি এমন, তোকে যতো জানি তবু মন ভরছে না কিছুতেই। আমি এতটাই হেমন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছি যে আমার উৎসের নাম রেখেছি হেমন্ত। সকালবেলায় ঝরার মতো সেও ঝরে ঘাসের নরম শরীর ছুঁয়ে। সে দেখে আমি শিখেছি মানুষ আর হেমন্ত কতদূর তফাৎ। কই তফাৎ খুঁজে পাইনি, পেয়েছি নারীও ঝরে বেদনায় হেমন্তের মত। দিনে গরম রাতে শীত হেমন্তের বৈচিত্র মানুষের মাঝে দেখা দেয় নানা রোগের উপসর্গ।
বাংলাদেশের লোকসাহিত্য হেমন্তের জায়গা অনেক বড় অনেক বিখ্যাত অখ্যাতও কবি সাহিত্যিক হেমন্ত নিয়ে রচনা করেছেন, আমিও করেছি- ও হেমন্ত চোরারে
তুইতো আনকোরা রে
জানিস পৌষ মন্ত্র
তুই শালা হেমন্ত
তোর পড়ন্ত বিকালে
তরমুজ খায় শিকালে
গেছিলাম ধান বুনতে
শিকারির গান শুনতে
মাইয়া দুইখান আইছিল
শসা লুটে খায় ছিল
করছি যখন তারা
আমায় করছে গ্রাম ছাড়া এইভাবে আমার খান দশ বারেক রচনা আছে। আজকে সভার উপস্থাপনা সম্ভব নয় কারণ তা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ। দৃষ্টি ছাড়িয়ে। এসব লোক সাহিত্যের অংশ সেদিন হেমন্তের এক বিকেলে বউ মেয়েকে খুব পেটালো। আহা সারা শরীরে কেমন ফোলাফোলা দাগ পড়ে গেছে। কেন মারল জানতে চাইলে শুনি ও নাকি পাশের বাড়ির হৈমন্তীর সাথে মর্ডান সাজগোজ করেছে। বুঝতে বাকি থাকল না বউ আমার লোকসাহিত্য প্রিয়, আদি বাংলা। এরকম বউ পেয়ে আমি গর্বিত হয়েছি। এরূপ বাংলা প্রিয় লোকসাহিত্য প্রিয় বউ সবার ভাগ্যে জুটে না। দোয়া করি সবার ভাগ্যে জুটুক,না জুটলে ছেলের ভাগ্যে। তাহলে গর্বিত হবে বাংলাদেশ। সে আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ করছি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। আমাদের সুন্দর বক্তব্য ও মূল্যবান টিপস উপহার দেয়ায় কালু ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। এবার আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন ইনস্ট্রুমেন্ট অফ ড্রামা, লিবারেল বায়োগ্রাফি, সাহসী লড়াকু মোল্লা। তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করার জন্য বিনীত আহবান করছি। আমি আর কি বক্তব্য রাখবো আজকের অনুষ্ঠানে যখন শেষ সময় কিছুক্ষণ পর মসজিদে আজান দিতে যাইতে হবে। এমন টানটান সময় কিছু বলা সম্ভব হয় না। তারপরও বলবো সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন। আপনারা কটার অনুষ্ঠানে কটায় আসেন আমাদের কাছে নোটিশ আছে। সবশেষে এসে সবার আগে বসতে চান, এটা ঠিক নয়। আপনাদের বলছি -সঠিক সময়ে আসতে না পারলে জামাতে শামিল হতে পারবেন না। না পারলে সভা হবে ঠিকই আপনি বঞ্চিত হলেন। আমরা কাউকে বঞ্চিত করতে চাই না। সবাই সঠিক সময় আসুন আর বিশেষ কোন কাজ থাকলে আসার দরকার নাই। আমাদের এক কবি বলেছেন -এখন হেমন্ত ঋতু দিনে গরম রাতে শীত। তো শীতে বউ বাচ্চা রেখে লোকসাহিত্য সভাতেই বা কেন আসবেন! তারাই তো সুন্দর সাহিত্য জানে। এ নিয়ে আমার একটা ছড়াও আছে- খাইতে গেলে আমার পাতে
বউয়ে দে শাক
শুইতে গেলে না লড়তেই
চৌকি দেয় ডাক। এমন সময় দূরে কোথাও হতে মাইকের শব্দ ভেসে এলে লোকসাহিত্য সভায়। ঐতো শুনেন মোল্লার আমাকে শামিল হতে ডাকছেন। আমি আজ যাই, আবার দেখা হবে বলেই মোল্লা তার ব্যাগপত্তর নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করলেন। এদিকে উপস্থাপক তার কর্ম চালিয়ে যান। ধন্যবাদ মোল্লা সাহেব তার বক্তব্য পেশ করার জন্য। এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন আমাদের মহিলা কবি রোকসানা লীলা। মহিলা কবির কথা শুনে সবাই তার দিকে চেয়ে আছে ক্ষুধার্ত দৃষ্টিতে। যেন কখনো আর মহিলা কি জিনিস কেউ দেখেনি। ধন্যবাদ জানাই সম্পাদককে আমাকে বলতে গিয়ে গর্বিত করায়। ধন্যবাদ জানাই সভার সভাপতি কবি ভাই ও বোনেরা। আমি দীর্ঘদিন ধরে ভাবছি লোকসাহিত্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে আর দুর্বল হয়ে পড়েছি এর কোনো সুনির্দিষ্ট বিহিত খুঁজে বের করতে পারিনি। আজকে যখন লোক সাহিত্যের উপর সভা হচ্ছে তাতে সবার চেয়ে আমি খুশি হয়েছি বেশি কারণে শুনেই দুধের বাচ্চাকে মাটিতে ঘুমায় রেখে সভাতে যোগ দিয়েছি। নানীর কাছে শেখা একটা লোকও ছড়া- হালুম হালুম খালাগো
সুন্দরী তুই কালা গো
আডিয়া হাতাত মুতে যে
কেলার হুলের মালা গো
গুজি কাঁটায় মহা ধুম
তোকে দিলাম অজ্ঞা চুম
কুককুরু কুক,কুককুরু কুক... এমনি করে কত ছড়া বিরস শুনেছি তা বললে দুদিন সময় লাগবে। যাক, এখন সময় কারো দাসত্ব স্বীকার করে না বলে আমাকে থামার ইঙ্গিত দিয়েছে। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক লোকসাহিত্য দীর্ঘজীবী হোক। খুব চমৎকার বক্তব্য, মিষ্টি একটা ছড়া উপস্থাপনের জন্য রোকসানা লীলাকে ধন্যবাদ। আজকের লোকসাহিত্য অনুষ্ঠানের মূল বিষয় হচ্ছে-` লোকসাহিত্য ও ইদানিং প্রেক্ষিত। ' সবাই যার যার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চমৎকার মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন। শত ব্যস্ততার ভেতরেও কবিবৃন্দ সময় দেয়ার জন্য সংসদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। আজকের সভার সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে। যাদের আমরা সুযোগ দিতে পারেনি, আশা রাখছি আপনারা মন খারাপ করবেন না। আসতে থাকুন নিয়মিত সভাগুলোতে, তাহলে একদিন না একদিন সুযোগ পেয়ে যাবেন। সভাপতির মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য বিনীত আহবান জানাই এমন সময় সভাপতির মোবাইল বেজে উঠে -`হ্যাঁ হ্যাঁ সাকু মেস্রী আর সোডা তারপর তুলা। নাইচ্ছা হাতা... আমি আসতেছি, রাখো।' উপস্থিত সভার সুধীমন্ডলী, সংসদের কর্মীবৃন্দ আশা রাখছি ভাল আছেন। ভুল>হুয়া >হুয়া> কিয়া> হুয়া থেকে ভুলুয়া রাজ্য গঠিত হয়েছে। সেখানে নতুন খালের অভিশাপে নোয়াখালী গঠিত হয়েছে। এই ইতিহাস খুব গভীরে প্রোথিত। এসব আমাদের জাতিগত সম্পদ। মনি ধাতুর চেয়ে মূল্যবান। আপনি আমি সবাই..এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সভায় হইচই পড়ে যায়। কেউ বলে মোম জ্বালাও, কেউ বলে মোবাইলে লাইট জ্বালাও, কেউ বলে জেনারেটর আসবে সবুর সবুর.. থেমে গেল সভাপতি এ পর্যন্ত রেখে। যখন কোনো ব্যবস্থা হলো না তখন আস্তে আস্তে সভা শূন্য হতে থাকলো। এবিএন/আবির আকাশ/জসিম/রাজ্জাক
তুই ভালো না পাজি রে
হেন্না গঞ্জের বৈঠা রে
হুক না হুরীর লুইট্যারে। এভাবে তারা একে অপরকে রস কাটে, কাটে ব্যঙ্গ। মুন্সি -গরু কিনছি
লোতা -গরু হোতা
গোরপান -গুরু দে কোরবান
আলী হাদ্দর- গরু ভাগ কর' পাড়া গ্রামে নাইওরি কলসি কাঁখে যায় পানির জন্য। দলে দলে এসব সুন্দরী মেয়েদের দেখে বলে উঠে রসিক মন- যাচ্ছো কোথায় ও সুন্দরী বাঁকা কোমড় লাড়ি
আলতা বৈরঅ, নুপুর লাগাই আমারে ছাড়ি। কেউ কেউ বলে উঠে- সুন্দর একখান আইছে মাইয়া
আমার দিকে রয়েছে চাইয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসবে বকশিশের টাকা পয়সা নিয়ে তর্কাতর্কি- লাখ টাকা খরচ করি
বিয়া করে সরস করি
তবু জামাই একশ টিয়া
দিতে হরান যায় হাড়িয়া অথবা মামা মামী বেড়াতে এসেছে দেখে ভাগিনা ভাগ্নি গেয়ে উঠে-
লোইটটা হুরীর মশারির ডাইল
মায়ে রাইন্ধা রাইখছে কাইল। অথবা আঙ্গো বাইত মেজ্জান আইছে খালা আর খালু
আঙ্গো আব্বা আইনছে গোস্ত আইনছে গোল আলু
বেকেরতন খুশি অইছে আর বাই কালু
মজা করে খামু হিডা আলু আর থালু। যাক লেখা অনেক লম্বা হওয়ায় এই স্বল্প সময়ে শেষ করা যাবে না। এখানে শুধু নির্বাচিত অংশটুকুই উপস্থাপিত হয়েছে। এখন আপনাদের মাঝে লোকসাহিত্য নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোকপাত করবেন সাহিত্য সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি আবৃত্তিকার সমালোচক টোকন চৌধুরী। হ্যাঁ করতালি দেন সবাই- হা হা হা, ধন্যবাদ সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সভাপতি সহ-সভাপতিসহ মহিলা কবি নবীন-প্রবীণেরা আমার সালাম নিবেন। আমরা জানি একটি দেশের মহামূল্যবান সম্পদ সেদেশের লোকসাহিত্য। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই হোয়াট থিওরি, মাইকেল শাহানা, ডিয়াগো বেল্ট, লাল চোখ হিন্দু, সোনা রোল সানডে ও সাম্প্রতিক নোবেল দিতে গিয়ে দাঁড়ি কামায়া আলুর রেট পর্যন্ত সবাই তাদের লোকসাহিত্য গেয়েছেন। প্রশংসিত হয়েছেন, জিইয়ে রেখেছেন ডোলা পোশাকের ইতিহাস। টাইট ব্রার হুক কিবা বিশ্ব সাহিত্যে স্থান নিয়েছে পল্লী বালিকার ফেলে আসা জাংগিয়া। আমরা দেখেছি ওয়াট সাউন্ডের গরু থিউরির হাম্বা রব, মাইকেল আনারুল কলিং কিবা দেয়ালের চুলের খোপা, লোড কি প্রাসের টাংক চার, লাল চোখ ইঁদুর, কক ডেট, হালের দাঁড়ি কামায়ার মূল ব্রাঞ্চ কত সুচারু। লোকসাহিত্যের উন্মাদনায় বেরসিক হয়েছে মন কিন্তু যদি পরী সোনাইয়া বোলের রান পাকিং কিংবা ব্রেষ্ট টিপিং তাহলে বুঝতে বাকি থাকবেনা কত গভীর থেকে লোকসাহিত্যকে খুঁজে আনা হয়েছে। চন্দ্রিকার আলোময় গভীর রাতে যখন জীর্ণ কুটিরে দুজন কামপাগল নেশাতুর ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেখানেও যে সুর, ছন্দের ব্যঞ্জনা ঘটে, লোকসাহিত্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে নিপুণভাবে। আজকে যারা বিশ্ব সাহিত্য নেতৃত্ব দেন তারা সবাই লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করেছেন। বাটার বেস্ট সুইট, বেস্ট বাট হাঙ্গার প্রজেক্ট। আমি আশা করব সকলে লোকসাহিত্য কে অনুধাবন করবেন। মনেপ্রাণে ধারণ করবেন বলে আমার বক্তব্য শেষ করছি বলেই মাথা নীচু করেন খানিকটা। তারপর সোৎসাহ পাওয়ার আশায় বিভিন্ন মুখ চাওয়াচাওয়ি করে বসে পড়েন। এদিকে পিছনে একটা অবোধ বাচ্চা ও সাধারণ সম্পাদক হাততালি দিলেন আর সকলে চুপচাপ বসে থাকলেন। মনে হচ্ছে তপন চৌধুরীর বক্তৃতায় কেউ কিছু রপ্ত করতে পারেননি। সম্পাদক উপস্থাপকের দায়িত্ব নিয়ে বলতে থাকলেন- ধন্যবাদ।এখন পর্যন্ত লোক সাহিত্যের উপর বিশ্ব সাহিত্যের আলোচনা করা হয়। এবার আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন... তপু বলবা? না। কবির হোসেন বলবা? না। তা কিছু দিন যে না,হাসান অডিও কিছু বল।-না না, প্রস্তুতি নেই স্যার, প্রস্তুতি নেই।
আচ্ছা বক্তব্য রাখবেন টিপু, হাততালি দাও জোরে হাততালি হবে। টিপু হাত তালির ভেতরে চট করে উঠে বলতে শুরু করেছে- না। পুরনো কমলালেবুর মতো চুপসে গেছে সম্পাদকের মুখ। এ অবস্থা দেখে টিপু বলতে থাকলো আমার বদলে বক্তব্য রাখবেন আমার বন্ধু বিশিষ্ট গল্পকার,তালি বাদক, সুরের হুংমরি খাদক কুদ্দুস, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। সঙ্গে সঙ্গে হাততালির শব্দে হাউস সরগরম হয়ে উঠলো। উপস্থিত আজকের সভার সভাপতি, সম্পাদক, কবি, সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা, পত্রিকার সম্পাদক ও আমার সুপ্রিয়গণ সশ্রদ্ধ সালাম নিবেন। আজকে আমরা এখানে একমত বা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণ একটাই লোকসাহিত্য নিয়ে আলোচনা। লোকসাহিত্য মানে লোকের মুখে মুখে বয়ে বেড়ানো গল্প, কাহিনী, প্রবাদ, বিরচন, ধাঁধা ইত্যাদি। আমরা বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে, হুয়া স্ট্রিং না পড়ে মায়ের কাছে যাই, সেকালের গল্প, লোকসাহিত্য শুনি লিপিবদ্ধ করি আর এটাকে ভালো করে সম্পাদনার মাধ্যমে গ্রন্থভুক্তি করি। এতে করে পল্লিসাহিত্য জননী যেমন করে মুক্তি পাবে তেমনি আমরা মুক্তি পাব আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে -এই বলে আমার ক্ষুদ্র বক্তব্য এখানে শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে। ধন্যবাদ কুদ্দুস তার মূল্যবান ভক্ত উপস্থাপন করার জন্য। এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন সংসদ সিনিয়র সহ-সভাপতি জ্ঞান-গরিমার গতি লাল বালুয়ার অধিকারী জনাব কালু। বলেই উপস্থাপক নিজেই হাততালি দিতে থাকলেন। অন্য আর কেউ হাততালি দিচ্ছেন না বলে লজ্জা পেয়ে জমে গেলেন। ধন্যবাদ সম্পাদক সাহেবকে আমাকে আজকের আলোচনা সভায় কিছু বলার সুযোগ করে দেয়ায় এখানে অনেক গণ্যমান্য জঘন্য ব্যক্তির সমাবেশ ঘটেছে ভাবতে ভাবতে আমি ভাবি কি দেখে কি বলি। তারপর থেকে চিন্তা করলাম হেমন্তের এই পড়ন্ত বেলায় শুধু কবি ও কবিতার সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় তৃষ্ণার্ত নারীর মতো উন্মুখ হয়ে আছি। কত কাল কত যুগ ধরে দেখে আসছি এমন, তোকে যতো জানি তবু মন ভরছে না কিছুতেই। আমি এতটাই হেমন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছি যে আমার উৎসের নাম রেখেছি হেমন্ত। সকালবেলায় ঝরার মতো সেও ঝরে ঘাসের নরম শরীর ছুঁয়ে। সে দেখে আমি শিখেছি মানুষ আর হেমন্ত কতদূর তফাৎ। কই তফাৎ খুঁজে পাইনি, পেয়েছি নারীও ঝরে বেদনায় হেমন্তের মত। দিনে গরম রাতে শীত হেমন্তের বৈচিত্র মানুষের মাঝে দেখা দেয় নানা রোগের উপসর্গ।
বাংলাদেশের লোকসাহিত্য হেমন্তের জায়গা অনেক বড় অনেক বিখ্যাত অখ্যাতও কবি সাহিত্যিক হেমন্ত নিয়ে রচনা করেছেন, আমিও করেছি- ও হেমন্ত চোরারে
তুইতো আনকোরা রে
জানিস পৌষ মন্ত্র
তুই শালা হেমন্ত
তোর পড়ন্ত বিকালে
তরমুজ খায় শিকালে
গেছিলাম ধান বুনতে
শিকারির গান শুনতে
মাইয়া দুইখান আইছিল
শসা লুটে খায় ছিল
করছি যখন তারা
আমায় করছে গ্রাম ছাড়া এইভাবে আমার খান দশ বারেক রচনা আছে। আজকে সভার উপস্থাপনা সম্ভব নয় কারণ তা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ। দৃষ্টি ছাড়িয়ে। এসব লোক সাহিত্যের অংশ সেদিন হেমন্তের এক বিকেলে বউ মেয়েকে খুব পেটালো। আহা সারা শরীরে কেমন ফোলাফোলা দাগ পড়ে গেছে। কেন মারল জানতে চাইলে শুনি ও নাকি পাশের বাড়ির হৈমন্তীর সাথে মর্ডান সাজগোজ করেছে। বুঝতে বাকি থাকল না বউ আমার লোকসাহিত্য প্রিয়, আদি বাংলা। এরকম বউ পেয়ে আমি গর্বিত হয়েছি। এরূপ বাংলা প্রিয় লোকসাহিত্য প্রিয় বউ সবার ভাগ্যে জুটে না। দোয়া করি সবার ভাগ্যে জুটুক,না জুটলে ছেলের ভাগ্যে। তাহলে গর্বিত হবে বাংলাদেশ। সে আশাবাদ ব্যক্ত করে শেষ করছি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। আমাদের সুন্দর বক্তব্য ও মূল্যবান টিপস উপহার দেয়ায় কালু ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। এবার আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন ইনস্ট্রুমেন্ট অফ ড্রামা, লিবারেল বায়োগ্রাফি, সাহসী লড়াকু মোল্লা। তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করার জন্য বিনীত আহবান করছি। আমি আর কি বক্তব্য রাখবো আজকের অনুষ্ঠানে যখন শেষ সময় কিছুক্ষণ পর মসজিদে আজান দিতে যাইতে হবে। এমন টানটান সময় কিছু বলা সম্ভব হয় না। তারপরও বলবো সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন। আপনারা কটার অনুষ্ঠানে কটায় আসেন আমাদের কাছে নোটিশ আছে। সবশেষে এসে সবার আগে বসতে চান, এটা ঠিক নয়। আপনাদের বলছি -সঠিক সময়ে আসতে না পারলে জামাতে শামিল হতে পারবেন না। না পারলে সভা হবে ঠিকই আপনি বঞ্চিত হলেন। আমরা কাউকে বঞ্চিত করতে চাই না। সবাই সঠিক সময় আসুন আর বিশেষ কোন কাজ থাকলে আসার দরকার নাই। আমাদের এক কবি বলেছেন -এখন হেমন্ত ঋতু দিনে গরম রাতে শীত। তো শীতে বউ বাচ্চা রেখে লোকসাহিত্য সভাতেই বা কেন আসবেন! তারাই তো সুন্দর সাহিত্য জানে। এ নিয়ে আমার একটা ছড়াও আছে- খাইতে গেলে আমার পাতে
বউয়ে দে শাক
শুইতে গেলে না লড়তেই
চৌকি দেয় ডাক। এমন সময় দূরে কোথাও হতে মাইকের শব্দ ভেসে এলে লোকসাহিত্য সভায়। ঐতো শুনেন মোল্লার আমাকে শামিল হতে ডাকছেন। আমি আজ যাই, আবার দেখা হবে বলেই মোল্লা তার ব্যাগপত্তর নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করলেন। এদিকে উপস্থাপক তার কর্ম চালিয়ে যান। ধন্যবাদ মোল্লা সাহেব তার বক্তব্য পেশ করার জন্য। এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন আমাদের মহিলা কবি রোকসানা লীলা। মহিলা কবির কথা শুনে সবাই তার দিকে চেয়ে আছে ক্ষুধার্ত দৃষ্টিতে। যেন কখনো আর মহিলা কি জিনিস কেউ দেখেনি। ধন্যবাদ জানাই সম্পাদককে আমাকে বলতে গিয়ে গর্বিত করায়। ধন্যবাদ জানাই সভার সভাপতি কবি ভাই ও বোনেরা। আমি দীর্ঘদিন ধরে ভাবছি লোকসাহিত্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে আর দুর্বল হয়ে পড়েছি এর কোনো সুনির্দিষ্ট বিহিত খুঁজে বের করতে পারিনি। আজকে যখন লোক সাহিত্যের উপর সভা হচ্ছে তাতে সবার চেয়ে আমি খুশি হয়েছি বেশি কারণে শুনেই দুধের বাচ্চাকে মাটিতে ঘুমায় রেখে সভাতে যোগ দিয়েছি। নানীর কাছে শেখা একটা লোকও ছড়া- হালুম হালুম খালাগো
সুন্দরী তুই কালা গো
আডিয়া হাতাত মুতে যে
কেলার হুলের মালা গো
গুজি কাঁটায় মহা ধুম
তোকে দিলাম অজ্ঞা চুম
কুককুরু কুক,কুককুরু কুক... এমনি করে কত ছড়া বিরস শুনেছি তা বললে দুদিন সময় লাগবে। যাক, এখন সময় কারো দাসত্ব স্বীকার করে না বলে আমাকে থামার ইঙ্গিত দিয়েছে। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক লোকসাহিত্য দীর্ঘজীবী হোক। খুব চমৎকার বক্তব্য, মিষ্টি একটা ছড়া উপস্থাপনের জন্য রোকসানা লীলাকে ধন্যবাদ। আজকের লোকসাহিত্য অনুষ্ঠানের মূল বিষয় হচ্ছে-` লোকসাহিত্য ও ইদানিং প্রেক্ষিত। ' সবাই যার যার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চমৎকার মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন। শত ব্যস্ততার ভেতরেও কবিবৃন্দ সময় দেয়ার জন্য সংসদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। আজকের সভার সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে। যাদের আমরা সুযোগ দিতে পারেনি, আশা রাখছি আপনারা মন খারাপ করবেন না। আসতে থাকুন নিয়মিত সভাগুলোতে, তাহলে একদিন না একদিন সুযোগ পেয়ে যাবেন। সভাপতির মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য বিনীত আহবান জানাই এমন সময় সভাপতির মোবাইল বেজে উঠে -`হ্যাঁ হ্যাঁ সাকু মেস্রী আর সোডা তারপর তুলা। নাইচ্ছা হাতা... আমি আসতেছি, রাখো।' উপস্থিত সভার সুধীমন্ডলী, সংসদের কর্মীবৃন্দ আশা রাখছি ভাল আছেন। ভুল>হুয়া >হুয়া> কিয়া> হুয়া থেকে ভুলুয়া রাজ্য গঠিত হয়েছে। সেখানে নতুন খালের অভিশাপে নোয়াখালী গঠিত হয়েছে। এই ইতিহাস খুব গভীরে প্রোথিত। এসব আমাদের জাতিগত সম্পদ। মনি ধাতুর চেয়ে মূল্যবান। আপনি আমি সবাই..এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সভায় হইচই পড়ে যায়। কেউ বলে মোম জ্বালাও, কেউ বলে মোবাইলে লাইট জ্বালাও, কেউ বলে জেনারেটর আসবে সবুর সবুর.. থেমে গেল সভাপতি এ পর্যন্ত রেখে। যখন কোনো ব্যবস্থা হলো না তখন আস্তে আস্তে সভা শূন্য হতে থাকলো। এবিএন/আবির আকাশ/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ