উদীচী মঞ্চস্থ করল যাত্রাপালা ‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১৪

স্বদেশী আন্দোলন নিয়ে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী মঞ্চস্থ করল যাত্রাপালা ‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব’।

যাত্রাপালায় উঠে এসেছে চারণ কবি মুকন্দ দাসের স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা থেকে শুরু করে এই সংগ্রামে অংশ্রগ্রহণকারী জনগোষ্ঠীর নানা পর্যায়ের অবদানের চিত্র। শাসক ব্রিটিশরা নানা পর্যায়ে এ অঞ্চলের মানুষকে নানা কৌশলে যে শোষণ-নির্যাতন এবং দমন-পীড়ন করেছিল যাত্রাপালায় অত্যন্ত শাবলিলভাবে সে সব উঠে এসেছে।

ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে মঞ্চস্থ ‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব ’ যাত্রাপালা গত রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষা থিয়েটার হলে প্রথম প্রদশর্নী মঞ্চস্থ হয়। 

মঞ্চের চারপাশটা ছিল খোলা। শীতের সন্ধ্যায় হলের আসনগুলো দর্শক-শ্রোতায় ঠাসা ঠাসা ভাব। কোন আসনই খালি নেই। মুহুর্মুহু কলতালি আর অভিনেতাদের প্রাণবন্ত অভিনয়ে জমে উঠে পুরো পালার প্রদর্শনী। অভিনেতাদের ঝলমলে পোশাক এবং সংগ্রামমুখর আন্দোলনের জাগিয়ে তোলা সংলাপকে দর্শকরা বার বার হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।

কবি মুকুন্দ দাস শতাধিক বছর আগে শুরু করেছিলেন স্বদেশী আন্দোলন। তার স্মরণে এবং এই আন্দোলনের মহত্বকে নতুন প্রজন্মের দর্শকদের সামনে উপস্থান করতেই উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী এই যাত্রাপালা মঞ্চে নিয়ে এসেছে। প্রসাদ কৃঞ্চ ভট্টাচার্যের লেখা যাত্রাপালাটি নির্দেশনা দিয়েছেন যাত্রাশিল্পী ও নির্দেশক ভিক্টর দানিয়েল।

শুরুতে নানা যন্ত্রের বাদন দিয়ে শুরু হয় মঞ্চায়ন। যাত্রাপালার ঐহিত্যবাহী নিয়ম অনুযায়ি সত্যেন সেনের লেখা ‘আমি মানুষেরে ভালবাসি, একি মোর অপরাধ’ এই গানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। উদীচীর কয়েকজন নতুন শিল্পী গানটি পরিবেশন করেন। হারমোনিয়ামের মন জয় করা সুর আর মন্দিরার তালের লহরী জানান দেয় যাত্রাগানের ঐতিহ্যকে।

রাজধানীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনের শিল্পী, কলাকুশলী, অভিনেতা, চলচ্চিত্র শিল্পীসহ অসংখ্য শ্রোতা যাত্রাপালাটি উপভোগ করে জানিয়ে দিলেন যে , শহরের নানা সাংস্কৃতিক কর্মের ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালারও ভিষণ কদর রয়েছে এখনও। ভুলে যাননি তারা আমাদর সংস্কৃতির শিকড় যাত্রাপালাকে।
খবর বাসস

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ