নীড়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মে ২০১৮, ১৮:২৯
দীলতাজ রহমান, ২১ মে, এবিনিউজ : সালাহউদ্দিন সাহেবের কপাল থেকে ইদানীং কুঁচকানো ভাবটি কাটে না। অথচ কোনোকালে তিনি রগচটা স্বভাবের ছিলেন না। বিয়ের প্রথম বছরের ভিতর একটি মেয়ের জন্ম। তারপর দেড়–দুই বছর করে ছাড় দিয়ে পরপর চারটি ছেলে। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে শেষ বয়সের কাছাকাছি আরেকটি মেয়ের জন্ম তাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছিলো। কিন্তু তিনি নিভে এলেন রিটায়ার করার পর। চার ছেলের একটিরও চাকরি হলো না। বড় মেয়েটির ইন্টার পরীক্ষার পর তার বড় খালা যেচে এসেছিলেন সম্বন্ধ নিয়ে। কিন্তু চাকরিতে ভায়রার পদটি সালাহউদ্দিন সাহেবের চেয়ে নিচু হওয়ায় তিনি বেশ নারাজ ছিলেন। কিন্তু পেরে উঠলেন না আত্মীয়–স্বজনের চাপে। নিজের ছেলের সঙ্গে মেয়ের খালা মেয়েকে বউ করে নিয়োছিলো বলে আজ সালাহউদ্দিন পরিবারের কিছুটা রক্ষা। ত্রিশ বছরের ইজি চেয়ারে ষাট বছরের গা এলিয়ে সালাহউদ্দিন সাহেব এর অন্যথা ভেবে মাঝে মাঝে ঝিমিয়ে পড়েন। ধাতস্থ হতে তাকে চোখ মেলে সব আবার পরখ করতে হয়।
ছেলেরা যখন লেখাপড়ার ভিতর ছিলো, তখন তিনি পানিতে মাছের মতো আশার ভিতরে ছিলেন। একজন করে লেখাপড়া শেষ হবে আর চাকরিতে ঢুকবে। চারজনই অবশ্য গলদঘর্ম হয়ে উপার্জনের উপায় খুঁজে চলছে। টিউশনি করে বেশ কিছু রোজগারও করছে একজন। কিন্তু একটি চাকরি শুধু আয়ের নিরাপদ উৎস ছাড়া সমাজে মান–সম্মান বৃদ্ধির প্রধান অবলম্বনও। এমনিতে আশেপাশে চারতলা, পাঁচতলা, ছ’তলা সব বাড়ি। তার ভিতরে সালাহউদ্দিন সাহেবের বাড়িটিই আড়াই কাঠার ওপর নির্মিত টিনশেড। সব মিলিয়ে পাঁচটি রুম, কিচেন, দুটো বাথরুম। চওড়া টানা বারান্দা। সামনের খালি সরু জায়গাটুকুতেই একটি করে বিলম্ব, করমচা, পেয়ারা, কামরাঙা ও ডালিম গাছ লাগানো ছিলো। ফাঁক–ফোকর গলিয়ে বাতাস এসে যখন শিশু গাছগুলোতে দোল খায়, তখন সালাহউদ্দিন ফুরফুরে হয়ে ওঠেন। বহুতল ভবনের যে সাধ, তা তার খুব একটা ছিলো না। একটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসাবে রিটায়ার করেছেন। টাকা যা পেয়েছিলেন তার অর্ধেকে বছর পনর আগে বাসাবোতে এই বাড়িটি তিনি কিনেছিলেন দশ লক্ষ টাকায়। তিনি তার এক জীবনের চিন্তা করেই বাড়িটি কিনেছিলেন। টিনশেড বাড়ি কেনার জন্য পরবর্তী সময়ে কখনো তিনি হা–পিত্যেশ করেননি।
ইদানীং ছেলেদের কারো চাকরি না হওয়ায় জীবনের কোন সিদ্ধান্ত ঠিক ছিলো, আর কোনটা ভুল, সব তিনি গুলিয়ে ফেলেছেন। বয়সে ছোট, সম্পর্কেও ছোট এমন সব মানুষের বাড়ি গিয়ে গিয়ে তিনি বড় ভাই, বড় বোন পাতিয়ে ছেলেদের চাকরির জন্য ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। শুধু একটু ক্ষমতার গন্ধ পেলেই পরিচয়ের সূত্র খুঁজে বের করছেন। কিন্তু রাশভারী ছেলেগুলো জানতেও পারছে না তাদের গুরুগম্ভীর পিতার কী অধঃপতন শুরু হয়েছে। বড় ছেলের সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে তার মাথায় ঈষৎ টাক দেখা দিয়েছে। মেজ ছেলে তার পাশাপাশি দাঁড়ালে তার লাবণ্যও অনেকটা খর্ব হয়ে যায় পিতা মোহম্মদ সালাহউদ্দিন শেখের চোখে। তিন নম্বরটি আরও তাগড়া হয়ে ওঠায় পিতার পিত্ত জ্বালা করা শুরু করে। এখন সে জ্বালা রোগের দিকে মোড় নিচ্ছে। তবে তার রোজগার বড় দু’টির চেয়ে ভালো। একটি ওষুধ কোম্পানিতে সে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভের চাকরি যোগাড় করে নিয়েছে। সঙ্গে বড় সাইজের একটি মোটরসাইকেল। মুখোমুখি গেটের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে অলস সময়টুকুতে গল্প বলতে গেলে, তিন নম্বরটিকে মা ডাক্তার বলে চালিয়ে দেয়। ভেতর বাড়িতে বসে এই গল্পের রেশ জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে সত্যবাদী সালাহউদ্দিনের মস্তিষ্কে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করলেও তিনি তা চেপে যান। কারণ পরিবারটিকে এখনো সুসংহত রাখতে তিনি স্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন না বটে। কিন্তু মনে মনে পঞ্চমুখ। বড় ছেলে টিউশানির পুরো টাকা মায়ের হাতে তুলে দেয়। মেজটা পুরোপুরি না হলেও বড় ভাইকে কিছুটা অনুসরণ করে চলে।
তিন নম্বর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ বাজার থেকে রুই–কাতলা, ইলিশ কখনো কেটে ব্যাগে ভরে আনে না। মাছের আনে মুখে দড়ি বেঁধে হোন্ডায় ঝুলিয়ে। এভাবে পাকা ফল, তরকারি সব কিছুতেই দেখানেপনাটা মায়ের মতো তার রক্তে মজ্জাগত। আর এতে করে পরিবারের সচ্ছলতা নিয়ে দু–এক ঘর প্রতিবেশী কিংবা তাদের ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে আলাপ করতে রাবেয়া খাতুনের বেশ জুত হয়। দেশের গেঁয়ো আত্মীয়–স্বজনদের কাছে তার মুখটি এতে রক্ষা করে। কর্তা রিটায়ার করলেও পরিবারের খাওয়াটি পড়ে যায়নি বলে। ছেলেরা রোজগারপাতি ভালো করছে। কিন্তু সালাহউদ্দিন সাহেবের যাতনা ভিন্ন। তিনি শেষ বয়সে এসে পৌঁছছেন। ছেলেদের চাকরি হবে, তাদেরকে সংসারী করবেন। নাতিপুতির মুখ দেখবেন। এই বাড়ি ছেড়ে গিয়ে আরও ভালো জায়গায় আশ্রয় নেবে ওরা। এতে করে সমাজে তার মানসম্মান বাড়বে। তা না হয়ে সবগুলো এখনো তাকে গুল্মের মতো পেঁচিয়ে রেখেছে। আর রাবেয়া খাতুন অবশ্য এতেই তুষ্ট!
সালাহউদ্দিন সাহেব নিজে উৎকট গম্ভীর প্রকৃতির হলেও, তিনি ঠিকই জানেন তার স্ত্রীটি বেজায় প্রগলভ। কিন্তু ছেলে চারটির পরিমিতবোধ কানায় কানায়। বড় মেয়েটি মায়ের কাছাকাছি স্বভাবের হলেও, ছোট মেয়েটি গাম্ভীর্যে বাপকে ছাড়িয়ে যায়। তার এই টপকে থাকার কারণ সে একটি ভালো স্কুলে পড়ে। আশেপাশ অনেকগুলি বাড়ির ছেলেমেয়ে যেখানে চান্স পায়নি, সে প্রথম শ্রেণী থেকে সেখানে অধ্যয়নরত। তারপরও আবার সে বাড়িতে ছোট মেয়ে। গায়ের রঙ ফর্সা। চেহারার গড়নটি তীক্ষ্ব।
সব মিলিয়ে স্ত্রীর প্রগলভ ভাবটি সালাহউদ্দিন সাহেবের টানাপোড়েনের সংসারে সারা জীবন বাড়তি ঔজ্জ্বল্য দান করে এসেছে। তিনি যা না উপার্জন করেছেন, তার চেয়ে বেশির বর্ণনা দিতে গিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে রাবেয়া খাতুন। ছোট ছেলেটিকে আর্মিতে ঢোকাবেন বলে কত আশা করেছিলেন সালাহউদ্দিন। কিন্তু তার বাতিল হওয়ার খবরটি সংসারে মোটেই চাউর হতে পারল না স্ত্রীর দোষে। কারণ দুসংবাদ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে বাড়ি ভারাক্রান্ত করে রাখা রাবেয়া খাতুনের ধাতে নেই। রাবেয়া খাতুনের রান্নার রসদ যে কোনো ওয়াক্তে কম পড়ছে না, রান্নাবান্না, পরিবেশনে তিনি যে এখনো যথেষ্ট সমর্থ এতে কোনো ভুল নেই। একজন মা অন্নপূর্ণার মতো তিন বেলা, চারবেলা রকমারি খাবার তার স্বামী–সন্তানদের পাতে গরম গরম তুলে দিতে পারছে এর চেয়ে সুখ জগতে কিছু থাকলে থাকতে পারে, কিন্তু তা রাবেয়া খাতুনের জানা নেই।
সালাহউদ্দিনের মাথাটা ইদানীং ঝিমঝিম করে। ডায়াবেটিস হলো কিনা, একবার চেক করাতে হয়। কিন্তু জগদ্ধাত্রীর মতো স্ত্রীর কাছে বিষয়টি পাড়তে তার নিজেকে বড় বেখাপ্পা লাগে। খুব তো বেশিক্ষায়। তার থেকে মাত্র দশ বছরের ছোট রাবেয়া। কিন্তু মনের বয়স দূরে থাক, সালাহউদ্দিনের মনে হয়, তার স্ত্রীর শরীরের বয়সও বাড়েনি। প্রতিদিন তার একই ধরনের কাজ, ছুটা ঝিয়ের সঙ্গে একই ধরনের কথোপকথন। বকাবকি। যার প্রায় সবটাই সালাহউদ্দিনের রুচিবিরুদ্ধ। তবু তার আলগা লালিত্য চোখকে আরাম দেয়।
জরুরি কারণে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দু–একবার সংসারের দায়িত্ব কিছুটা সামাল দিতে গিয়ে তিনি নিজে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। কারণ কাজের লোকের সঙ্গে স্ত্রীর দুর্ব্যবহারের বিকল্প তার শেখা নেই বলে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়া–আসা ছাড়া সালাহউদ্দিন সাহেবের আর কোনো কাজ নেই এখন। শুয়ে–বসে হাত–পা ভার হয়ে উঠছে। হাতের টাকা–পয়সা শেষ বলে বড় ধরনের বাজারও তাকে করতে হয় না। হঠাৎ চিনি বা ম্যাচ’র মতো খুচরো কিছু ফুরিয়ে গেলে বা হঠাৎ মেহমান এসে পড়লে তাকে কখনো সখনো দোকান পর্যন্ত যেতে হয়। রাবেয়া খাতুনই ডেকে তুলে পাঠায়। যেন তিনি এখন এসব কাজের সঙ্গেই খাপ খাওয়া। স্ত্রী, ছেলেমেয়ের সঙ্গে গালগল্প করতে এখন আর ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে পালানোর চিন্তা করেন। কোথায় যাওয়া যায় ভাবতে চোখ বন্ধ করেন। রাস্তার যানজট প্রথমে যাত্রা নাস্তি করে। তারপরও ঠেলেঠুলে পৈতৃক ভিটেয় ওঠেন। ভাইদের অবস্থা তার নিজের চেয়ে খারাপ। দুই–চার বেলা মুরগি, ডিমের ঝোলের ব্যবস্থা হলেও তারপর থেকে শুরু হয় যার যার সংসারের দুরবস্থার বর্ণনা। তেমন করে সাহায্য কেউ প্রার্থনা করে না অবশ্য। তবু সবাই তো ভার লাঘবের একটা জায়গা খোঁজে। তার ওপর সবারই ধারণা রাজধানীতে বসবাস করা মানুষ মানে কিছুটা হলেও তার রাজার হাল আছে। না, এ অসম্মান বহন করার শক্তি সালাহউদ্দিন সাহেবের নেই। ইদানীং তার প্রতি রাবেয়ার তদারকিও বেড়ে গেছে। সে কি সালাহউদ্দিনের পালাই পালাই মনোভাব টের পেয়ে গেলো? রাবেয়া খাতুন কাছে এলে আড়চোখে তাকান তিনি। কিন্তু তার কোনো বিকার তিনি ধরতে পারেন না। আর ধরতে পারেন না বলেই মাছ ধরার মতো চার ফেলেন। বলেনণ্ডচলো কোনোখান থেকে আমারা বেড়িয়ে আসি!
ণ্ডআপনার যা কথা! লাশ হওয়া ছাড়া এ সংসার থেকে বেরোবার পথ খোলা রাখছেন নাকি?
ণ্ডআমি আবার কি করলাম?
ণ্ডকেন, আজ যদি কোথাও বাড়তি কিছু করে রাখতেন, তাই পুঁজি করে ছেলেগুলো এগোতে পারতো!
ণ্ডছেলেদের জন্য আমার করতে হবে কেন? আমার বাপ আমার জন্য কী করে দিয়েছিলো?
ণ্ডতখনকার কথা বাদ দেন।
ণ্ডএখনো অন্যমানুষের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মতো প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না?
ণ্ডআমাদের ছেলেরাও তো চেষ্টা করছে। তারা তো বসে নেই!
ণ্ডতোমার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে, আমার বাপের ঘর থেকে ছেলেদেও জন্য চাকরি তৈরি করে রাখা উচিত ছিলো আমার…।
ণ্ডফাও কথা নিয়ে ঝগড়া করবেন না তো!
স্ত্রীর কথায় দমে যান সালাহউদ্দিন সাহেব। আসলে নিজের নৈরাশ্য দিয়ে তাকেও গ্রাস করতে চান তিনি। আর এটা যখন বুঝতে পারেন, কুণ্ঠিত হয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। তার বাথরুমে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। একদিন আসরের নামাজ পড়ে আর ফিরে আসেননি। রাবেয়া খাতুন ধরেই নিয়েছে তার স্বামী মাগরিব পড়ে তবেই ঘরে ফিরবেন। কিন্তু সালাহউদ্দিন একেবারে অসময়ে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন। মসজিদ যতটা দূরে এখনি ফিরে গেলেও মাঝপথে আজান পড়বে। অতএব এ অসময়ে বাড়িতে ঢুকতে দেখে রাবেয়া খাতুন স্বামীর সাথে প্রায় একসঙ্গে বাথরুমের দরজা পর্যন্ত এগোলেন। সালাহউদ্দিন সাহেব দরজা খুলে বেরোতেই রাবেয়া খাতুন তাকে আরেকটা লুঙ্গি এগিয়ে দিয়ে বললো, ধরেন, তাড়াতাড়ি পরনের লুঙ্গিটা পাল্টে নেন! এক্ষুনি আজান পড়ে যাবে। সালাহউদ্দিন আমতা আমতা করতে লাগলেন। পরনের লুঙ্গিটি নিয়ে সংকোচ বোধ করলেও, লজ্জিত হয়ে বললেন, আরেকটা লুঙ্গি নষ্ট করবো? কিন্তু স্ত্রীর শাসনের কাছে তিনি হার মানলেন। কারণ তারও মনে হচ্ছিল পরনের লুঙ্গিটা আর নামাজের জন্য উপযুক্ত নেই।
সালাহউদ্দিন সাহেব বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগেই পরিত্যক্ত লুঙ্গিটি রাবেয়া খাতুন ধুয়ে, চিপড়ে হাতে নিয়ে বাথরুম থেকে বের হলো। তারপর ডালিম, পেয়ারা, কামরাঙা, বিলম্ব, পেয়ারা সব ক’টি চারাগাছের কাঁধ বরাবর পেঁচিয়ে বাঁধা তারটিতে তা জোরছে ঝেড়ে মেলে দিলো। দ্রুত গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে সালাহউদ্দিন উল্লম্ফ স্ত্রীর দিকে আড়চোখে তাকালেন এবং ভলোভাবে বুঝলেন, তার এতটুকু বিষয়ও তাহলে রাবেয়ার নজর এড়ায় না। মসজিদ পর্যন্ত বাকি রাস্তা যেতে যেতে সালাহউদ্দিন সাহেবের স্ত্রীর মুখখানা মনে পড়া ছাড়া আর কোথাও পালানোর কথা মনে পড়লো না। আসলে তিনি নিশ্চিত নিরাপদ আশ্রয়েই আছেন ভেবে তার চোখ দুটি ভিজে উঠলো। তিনি এই প্রথমবারের মতো আল্লাহতায়ালার কাছে ভেজা চোখে নিজের জন্ম ও জীবনের জন্য পরম শুকরিয়া গুজার করলেন। স্ত্রী–সন্তানদের জন্য সুখ, শান্তি, স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন কামনা করলেন। তারপর বাসায় ফেরার পথেও ধীর পায়ে পবিত্র মনে ফিরলেন। যেমনভাবে ভক্তিতে তিনি মসজিদে এসে ঢুকেছিলেন। (সংগৃহীত)
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ