আজকের শিরোনাম :

কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্করের ৫০তম প্রয়াণ দিবস আজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৬

‘কালো যদি মন্দ তবে, কেশ পাকিলে কান্দ ক্যানে’- বলছিলাম অমর কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যেপাধ্যায়ের কথা। মানব জীবনের বাঁকে বাঁকে সৃষ্টি হওয়া বাস্তবতা তার লেখনীতে প্রতিভাত। বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান এ ঔপন্যাসিকের ৫০তম প্রয়াণ দিবস আজ।

রাঢ় এলাকার ঝুমুর গান। প্রতিটি জীবনের পরম সত্যই যেন উদ্ভাসিত। কালিন্দী কিংবা গণদেবতা, পঞ্চগ্রাম আর হাঁসুলি বাঁকের উপকথায় ধ্বনিত হয়েছে অন্তজ শ্রেণির মর্মর বাণী। ঝরা পাতার মতো জীবনে কবির নিতাই এসেছে নিরেট ভালোবাসা নিয়ে। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় তাই তারাদের আকাশে ধ্রুবতারা। 

তারাশঙ্কর জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে এক জমিদার পরিবারে। মানুষের প্রতি তাঁর টান এবং প্রেমই ধীরে ধীরে সাহিত্যিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রথম জীবনে কবিতা লিখলেও গদ্যেই স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন বেশি। তুলে এনেছেন ভঙ্গুর সমাজের দ্বান্দ্বিক চরিত্র। 

তার রচনায় ঘুরে ফিরে এসেছে সাঁওতাল, বাগদি, বোস্টম, ডোম আর কবিয়াল শ্রেণীর আলেখ্য। মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন তারাশঙ্কর। গ্রাম জীবনের ভাঙ্গন এবং নগরকেন্দ্রিকতাও এসেছে সাবলীলভাবে।

৬৫টি উপন্যাস আছে তারাশঙ্করের। লিখেছেন প্রবন্ধ, নাটক, গল্পগ্রন্থ এবং প্রহসন। তার গল্প ও উপন্যাস অবলম্বনে প্রায় ৬০টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। 

একসময় মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন সাহিত্যিক তারাশঙ্কর। জেলও খেটেছেন। হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য।

সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য বহুবিধ পদক-সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নক্ষত্রলোকে পাড়ি জমান এ সাহিত্যিক।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ