আজকের শিরোনাম :

পর্দা নামল বইমেলার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৮:২৫ | আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৩৩

করোনায় লেখক, দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের উপস্থিতিতে খুব একটা জমজমাট হয়ে উঠতে পারেনি এবারের বইমেলা।  বছরের পর বছর ধরে বইমেলা চলাকালে মেলা প্রাঙ্গণ ছিল পাঠক-লেখকদের মিলনমেলার কেন্দ্রস্থল। কিন্তু এবার করোনার কারণে সেই অর্থে বইমেলা মিলনমেলায় রূপ নিতে পারেনি। এর মধ্যেই ২৬ দিনের মাথায় পর্দা নামল বইমেলার।

শেষ দিনে মেলা প্রাঙ্গণ খোলার পর থেকেই বইপ্রেমীদের ঘুরতে দেখা গেছে স্টলে স্টলে। যদিও এবার পাঠকের সংখ্যা ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। তাও যারা ছিলেন তারা এক স্টল থেকে অন্য স্টলে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত বইয়ের খোঁজে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। অন্যদিকে স্টল সংশ্লিষ্টরাও বই গোছাতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সব মিলিয়ে বইমেলার শেষ মুহূর্তে অনেকটাই তাড়াহুড়ো করতে দেখা গেছে সবাইকে।

দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে শেষ দিনে বইমেলায় এসেছেন শারমিন নাহার।  তিনি বলেন, বইমেলা আমাদের জন্য একটা মিলনমেলা। এই মেলায় আমরা দল বেঁধে আসি, ঘুরি, বই কিনি। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। করোনার কারণে এবার ভালোভাবে মেলায় আসতে পারিনি। বইও কেনা হয়নি। তাই আজ শেষ দিনে কিছুটা সময় বের করে মেলায় এসেছি। শেষ সময়ে তাড়াহুড়ো করে দুটি বই কিনেছি।

মেলার সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সহ সভাপতি এবং বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, করোনাকালে দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক খাত আমাদের প্রকাশনা জগত। আমরা আশা করেছিলাম অমর একুশে বইমেলা ২০২১ আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশকরা বাণিজ্যিকভাবে কিছুটা লাভের মুখ দেখব, এবারের বইমেলা হবে ইতিহাসের সেরা বইমেলা। কিন্তু করোনার জন্য এবছরের বইমেলায় অর্থনৈতিকভাবে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে প্রকাশকদের।

করোনাভাইরাসের কারণে এবার ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এ বছর ১৮ মার্চ বইমেলা শুরু হয়। এরপর ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে মেলা। অন্যান্য দিনগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। কিন্তু দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে ৩১ মার্চ বইমেলার সূচি পরিবর্তন করে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত করা হয়।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ