আজকের শিরোনাম :

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০৯

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি আজ বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।  নজরুলকাব্যে মিথিক-ঐতিহ্যিক প্রতিমা : ফিরে দেখা শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

স্বাগত ভাষণে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, নজরুল ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভা। যে অসাম্প্রদায়িক- শোষণমুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র ও বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছেন আমাদেরও সে পথে এগোতে হবে। তবেই এদেশে নজরুল চেতনার যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটবে।

একক বক্তা অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সমন্ববাদী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বার্থক উত্তরাধিকার।  ‘প্রলয়োল্লাস’ এবং ‘বিদ্রোহী’তে তিনি যে নিপুণভাবে ঐতিহ্য ও মিথের ব্যবহার করেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর।  ইসলামি ঐতিহ্য, হিন্দু এবং গ্রিক মিথের স্বাচ্ছন্দ ব্যবহারের সমান্তরালে নজরুল-কাব্যে খ্রিস্ট ও বৌদ্ধ ঐতিহ্যেরও গভীর প্রভাব লক্ষ করা যায়।  তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম কবিতায় তার বক্তব্যের যথার্থতা ফুটিয়ে তোলার বাহন হিসেবে বিপুলভাবে মিথ ও ঐতিহ্যের অনায়াস ব্যবহার করেছেন।

এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ দ্বিধাহীন।  তার অসাম্প্রদায়িক মানসের প্রকৃত সন্ধান পেতে হলে সমগ্র নজরুল রচনার পাঠ অত্যন্ত জরুরি।  কারণ তার কাব্যে ও অন্যান্য রচনায় মিথের ব্যবহার কোনো খন্ডিত সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেনা বরং সামগ্রিকভাবে বিশ্ব মানবমঙ্গলের আহ্বান ধ্বনিত করে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সাহিত্য সৃষ্টির পরিসর পর্যন্ত নজরুল বিরল এক অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্বের নাম।  আমাদের দুর্ভাগ্য তার মতো অনন্য প্রতিভাকে এখনও আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি।  এখন সময় এসেছে সব ধরনের সংকীর্ণতামুক্ত হয়ে নজরুলকে তার যথার্থ বৈশ্বিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করা।

সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন- আবৃত্তিশিল্পী মো. রফিকুল ইসলাম।  নজরুলগীতি পরিবেশন করেন- শিল্পী ডালিয়া নওশীন এবং মাকসুদুর রহমান মোহিত খান।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মাহবুবা রহমান।    

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ