আজকের শিরোনাম :

আনোয়ার হোসাইনের অনুবাদে ‘টু হিস্টোরিক ট্রায়ালস ইন রেড ফোর্ট’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৫

উপমহাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আজাদ হিন্দ ফৌজের সশস্ত্র সংগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। এ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী তিন সংগ্রামী এবং তারও আগে ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহের বিচার প্রক্রিয়ার বিবরণী ‘টু হিস্টোরিক ট্রায়ালস ইন রেড ফোর্ট’। মতি রামের এ সংকলন বাংলায় অনুবাদ করেছেন আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু।

অনুবাদক জানান, বুধবার বইটি বাজারে এনেছে প্রকাশনা সংস্থা নালন্দা। ৭১২ পৃষ্টার ‘টু হিস্টোরিক ট্রায়ালস ইন রেড ফোর্ট’-এর দাম রাখা হয়েছে ১২০০ টাকা।

বইটির বিষয় নিয়ে মঞ্জু বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানের হাতে যুদ্ধবন্দী ভারতীয় সৈন্যদের নিয়ে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) গঠন এবং ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা। কিন্তু জাপানিরা বার্মা থেকে পিছু হটলে আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন অফিসার মেজর জেনারেল শাহ নওয়াজ খান, কর্নেল প্রেম সেগাল ও কর্নেল গুরবখশ সিং ধীলনকে ১৯৪৬ সালে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয় দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কিল্লায়, যেখানে ৮৭ বছর আগে বিচার করা হয়েছিল ব্রিটিশের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘সিপাহি বিদ্রোহে’র নায়ক হিসেবে বিবেচিত শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের।

দুটি বিচারই ছিল ব্রিটিশের চাপিয়ে দেয়া বিচার। দুটি বিচারের শুনানি ও রায় সংকলিত হয়েছে ‘টু হিস্টোরিক ট্রায়ালস ইন রেড ফোর্ট’ গ্রন্থে। আর সংকলনটির ভূমিকা লেখেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।

নেতাজি সুভাষ বোস সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ কমই আছে। কিন্তু আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন অফিসারের বিচারের বিস্তারিত বিবরণ জানেন খুব কম মানুষ। বিচারের শুনানি মানেই আইনের কথাবার্তা, যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি। সামরিক আদালত তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের শাস্তি প্রদান করে। কিন্তু এই বিচারকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ বিরোধী তুঙ্গে ওঠেছিল। গণরোষের কাছে ব্রিটিশ সরকার এই তিন বীরকে মুক্তি দানে দিতে বাধ্য হয়।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ