বিসিএস থেকে কোটা বিলুপ্তি বাস্তবায়ন হবে : পিএসসি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২০, ১৫:৪৭
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছেন, ৪০তম বিসিএস থেকে কোটা বিলুপ্তি বাস্তবায়ন হবে।
আজ বুধবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ৪০তম বিসিএস থেকে কোটা বিলুপ্তি বাস্তবায়ন হবে। তবে মঙ্গলবার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়া ৩৮তম বিসিএসের নিয়োগে আগের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, কোটার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় কোটার বিষয়ে সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হবে। সরকার যদি কোটা বাতিল করে তবে সেটি কার্যকর করা হবে। সেক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক জানান, বিসিএস পরীক্ষায় কোটা দেয়া বা বাতিলের ক্ষমতা পিএসসির হাতে না, এটি সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকারিভাবে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আমরা তা অনুসরণ করে ফলাফল প্রকাশ করে থাকি।
কোটা বাতিল হওয়ায় আগের চাইতে অনেক বেশি মেধাবী বিসিএস পরীক্ষায় সুযোগ পাবে বলে মনে করেন তিনি।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪০তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে ১৫ নভেম্বর শেষ হয়। ইতোমধ্যে ৪০ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হলে তার ফল প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণের কাজ শুরু করেছে পিএসসি। এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী এখন ফলের অপেক্ষায় আছেন।
জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসে মোট এক হাজার ৯০৩ জন নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি। এর মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, কর ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল চিকিৎসক নিয়োগে ৩৯তম বিসিএসের (স্পেশাল) ফল প্রকাশ ও নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতিতেই। বেশ কয়েকবার এই কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সর্বশেষ ৫৫ শতাংশের কোটা করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলাভিত্তিক কোটা ১০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল। পরে ১ শতাংশ কোটা প্রতিবন্ধীদের জন্যও নির্ধারণ করা হয়।
তবে বিভিন্ন বিসিএসের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কোটা থাকার কারণে মেধাবীরা উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাননি, অথচ অন্যদিকে শত শত পদ শূন্য রয়ে গেছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ